বন্ধু ও বাঁশরী'র আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন ও  কর্মী সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত (BONDHU and Bashori organized Annual Picnic and Staff Conference 2024)

22 February 2024

বন্ধু ও বাঁশরী'র আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন ও কর্মী সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত (BONDHU and Bashori organized Annual Picnic and Staff Conference 2024)

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪/ ৯ ফাল্গুন ১৪৩০ তারিখে, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার যাদবপুরে অবস্থিত কবি নজরুল পার্কে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) এবং বাঁশরী – একটি নজরুল কেন্দ্র’র যৌথ উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন ও কর্মী সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। সারা বাংলাদেশ থেকে বন্ধু’র কর্মী এবং বাঁশরীর ঢাকাস্থ শিল্পী ও অতিথিদের সপরিবার অংশগ্রহণে আয়োজনটি একটি উৎসবমুখর ও উত্তেজনাপূর্ণ আবহে অনুষ্ঠিত হয়।  


বনভোজনে অংশগ্রহণকারীরা দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিনোদনধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম উপভোগ করেন। দিনব্যাপী আয়োজনটি উপভোগ্য করতে ছিলো নানা আয়োজন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থেকে শুরু করে প্রীতি খেলাধুলা প্রতিযোগিতা, নৃত্য, বাঁশরী লেটো দলের লেটো নাটক পরিবেশনা প্রভৃতি।

সকাল ১০টায় বাঁশরীর শিল্পীদের কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “জয় হোক, জয় হোক” এবং “মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান” সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজনটির উদ্বোধন ঘটে । এরপর বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’র হেড অফিসের কর্মীদের একটি সাংস্কৃতিক দল কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “মনের রঙ লেগেছে, বনের পলাশ জবা অশোকে…….” সংগীত ও সাথে নৃত্য পরিবেশন করে।


নজরুলের সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে রচিত পটের গান পরিবেশন করে বাঁশরী পট দলের সদস্যরা। পট দলের পরিবেশনার পর ড. খালেকুজ্জামান তার মূল বক্তব্য প্রদান করেন। এর পরপর শিল্পী গৌরী নন্দী একক সংগীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’র কর্মী সুস্মিতা হাজং পরিবেশন করেন হাজংদের ঐতিহ্যবাহী একক নৃত্য। বন্ধু’র বিভিন্ন জোনের ১৯টি দলের কর্মীগণ তাদের প্রকল্পধর্মী থিম নিয়ে মঞ্চনাটক উপস্থাপন করেন যা এই আয়োজনে যোগ করে বাড়তি মাত্রা। দুপুরের দিকে বাঁশরীর লেটো দল পরিবেশন করে “ রব না কৈলাসপুরে, আই অ্যাম ক্যালকাটা গোয়িং ” শীর্ষক লেটো গান।


এরপর মধ্যাহ্নভোজের সাথে সাথে চলে বাঁশরী’র শিল্পীদের নজরুল সংগীত পরিবেশনা। মধ্যাহ্নভোজের পর বাঁশরী শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি চলে নারী, শিশু ও পুরুষদের প্রীতি খেলাধুলা। খেলাধুলা পর্বে ছিলো নারীদের বেলুন রক্ষা প্রতিযোগিতা, শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং পুরুষদের রশি টানাটানি খেলা।


দিনব্যাপী নির্ধারিত নানা আয়োজনের পর সবশেষে ছিলো বনভোজনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ও সবচেয়ে উত্তেজনাকর মুহূর্ত র‍্যাফেল ড্র। লটারির টিকিট হাতে অধীর আগ্রহে ও উৎকণ্ঠিত চিত্তে সবার অপেক্ষার পালা শেষ হয় এক এক করে র‍্যাফেল ড্র’র ৩০টি পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। প্রত্যেকটি পুরস্কার বিজয়ীর কুপন নম্বর ঘোষণার সাথে সাথে অভ্যাগত অতিথি ও দর্শক-অংশগ্রহণকারীদের হর্ষধ্বনি প্রকাশে র‍্যাফেল ড্র’র চূড়ান্ত উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।


র‍্যাফেল ড্র’র সৌভাগ্যবান বিজয়ী এবং খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) কর্মকর্তা ও অতিথিগণ। এর সাথে সাথেই আনন্দবহ আবহের মধ্য দিয়ে বন্ধু ও বাঁশরীর দিনব্যাপী বার্ষিক বনভোজন ও কর্মী সম্মেলন ২০২৪ এর সমাপ্তি ঘটে।