বন্যাদুর্গত বন্ধুর পাশে “বন্ধু মেডিকেল টিম” (BONDHU Medical Team Extended Help to the Flood-affected)

05 September 2024

বন্যাদুর্গত বন্ধুর পাশে “বন্ধু মেডিকেল টিম” (BONDHU Medical Team Extended Help to the Flood-affected)

বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) এবং বাঁশরী সম্প্রতি বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ‘বন্ধু মেডিক্যাল টিম’ গঠনের মাধ্যমে কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মোট ২০০০ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।


গত ২৭ আগস্ট কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় অনুষ্ঠিত বন্ধু ও বাঁশরীর এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রায় ৬০০ মানুষকে সেবা প্রদান করা হয়। গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ২ দিনব্যাপী নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৪০০ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। বন্ধু মেডিকেল টিমের এই দাতব্য কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রংতুলি।


এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয়রা জানান, তাদের এলাকায় ‘বন্ধু মেডিকেল টিম’ ব্যতীত এখনো কোন মেডিকেল টিম আসেনি। এই ক্রান্তিকালে বন্ধু’র পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ পেয়ে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। এতে তারা অনেক খুশি এবং বন্ধু ও বাঁশরীর এ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, এই এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে আছে। এই পানি এখনো রাস্তায় জমে থাকার কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে ও উপজেলা শহর দূরে থাকায় সেখানেও তারা যেতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ খুবই জরুরী ছিল।


এই মেডিকেল টিমে অংশ নেয়া ডাক্তাররা বলেন, বন্যা ও বন্যাপরবর্তী সময়ে এই এলাকার মানুষের ত্বকের সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও জ্বর, পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বাঁশরী ও বন্ধু’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিতে পেরে তারা আনন্দ ও তৃপ্তি অনুভব করছেন বলে জানান।


বাঁশরী ও বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান জানান, “ভবিষ্যতে আমরা এমন আরও উদ্যোগ গ্রহণ করবো, যেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যায় এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়।”

এই মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নেন ডা. সুবর্ণা সরকার, ডা. উম্মে কুলসুম, ডা. উদয় রহমান, ডা. তানিয়া আফরিন, ডা. মনজুর রহমান এবং মো. শাহ আলম (এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষ) ।