04 November 2025
বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ১১ বছর উদযাপন
৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র ১১তম বর্ষে পদার্পণ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাঁশরীর নানান সৃষ্টিশীল কার্যক্রম পরিচালনার ১১তম বছরে পদার্পণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। ৪ নভেম্বর এ দিনটি তাই বাঁশরীর জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
দিনটি অর্থবহভাবে উদযাপন করতে বাঁশরী কিছু অনানুষ্ঠানিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
কর্মসূচির প্রথম পর্বে বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র শিল্পী, সদস্য, ভক্ত-অনুরাগী ও বাঁশরীর কলাকুশলীসহ বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলে কবির রুহের মাগফেরাত কামনা, দোয়া ও প্রার্থনা করেন। এরপর কবির সমাধিপ্রাঙ্গণে বাঁশরীর কণ্ঠশিল্পী ও আবৃত্তিশিল্পীদের কবির রচিত সংগীত ও কবিতা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ অংশের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব শুরু হয় মোহাম্মদপুরের বসিলায় অবস্থিত বাঁশরীর প্রধান কার্যালয়ে। বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বরেণ্য শিল্পীগণ উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রথিতযশা নাট্য নির্দেশক গোলাম সারোয়ার, কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও লেখক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী টিটু মুন্সী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নজরুল অনুরাগী-ভক্ত ও বাঁশরীর সদস্য, শিল্পীসহ গাজী টিভির কলাকুশলীগণ। ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কর্তনের মাধ্যমে ২য় পর্বের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। বাঁশরীর গুণগ্রাহী ও গাজী টিভির পক্ষ থেকে বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানকে ফুল ও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
এরপর অভ্যাগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে অনেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের বক্তব্যে নজরুলের সৃষ্টিকর্ম প্রচার ও প্রসারে বাঁশরীর অতুলনীয় অবদান ও আত্মনিবেদনের কথা উঠে আসে এবং তাঁরা বাঁশরীর সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান ও বাঁশরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পাশাপাশি চলে নজরুল রচিত সংগীত ও কবিতা আবৃত্তি।
একক ও সমবেত কণ্ঠে বাঁশরীর শিল্পীগণ নজরুলের জনপ্রিয় গান পরিবেশনের মাধ্যমে এ আয়োজনের শেষ পর্যন্ত মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা। প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী টিটো মুন্সী “বিশ্বাস ও আশা” এবং নজরুলের কালজয়ী “বিদ্রোহী” কবিতার অংশবিশেষ আবৃত্তি করেন।
কেক কাটা, নজরুল রচিত সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে বাঁশরীর ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রাণবন্তভাবে সমাপ্ত হয়।